সরিষা খেত মানেই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ। সবুজের মাঝে হলুদে হরিদ্রা হয়ে ছবি তুলে স্মৃতিকে ধারণ করে রাখার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার কৌতূহল সংবরণ করা বেশ কঠিন। ছোটবেলায় বন্ধুরা মিলে ক্যামেরার ফিল্ম কিনে কড়ায় গণ্ডায় হিসেব কষে তোলা হতো ছবি। আহা! কী সেই মধুর স্মৃতি।
সেখান থেকে নষ্ট হয় একটি ফ্লিম যদি/তা নিয়ে হতো মনোমালিন্য আর ছাড় ছিলো না এক রতি। হারানো সেসব দিন এখন শুধুই মধুর স্মৃতি! সেসব স্মৃতি নিয়ে স্মৃতিকাতর হয় না; এমন মানুষ আপনি খুঁজেও পাবেন না।
আজ বিকেলে রাজশাহী যাওয়ার পথে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের ধারে আমাদের দৃষ্টি নিবিষ্ট হলো। সেখানে শীতের সোনাঝরা রোদে মাঠজুড়ে যেন ঝিকিমিকি করছে হলুদ ফুলের সমারোহ। গোধূলি লগ্নের পূর্ব মুহূর্তে পশ্চিমাকাশের নরম রোদে সরিষার ফুলে যেন চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। দিগন্ত জুড়ে হলুদ ফুলের হাতছানি। ফুল যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে মৌমাছিকে, এসো পান করো মধু, বিলিয়ে দাও জনতার মাঝে। প্রজাপতির দল ছুটে বেড়াচ্ছে ফুলে ফুলে। মৌমাছির গুঞ্জরণে মুখরিত সরিষার বিস্তীর্ণ মাঠ।
এমন অপরূপ দৃশ্য দেখে বলে আমার বস/এরফান ছবি তুললে সময় হবে না লস। তাই রানা ভাইকে নিয়ে গিয়ে সরিষা খেতে/ছবি তুলে মন ভরালাম মানসিক প্রশান্তি নিতে।
মো. এরফান আলী
উন্নয়ন ও শিক্ষা কর্মী
তারিখ: ২১.১২.২০২৪ খ্রি.





